‘মেট্রোরেলের সচিবালয় স্টেশন’ নামের পরিবর্তে ‘জাতীয় প্রেসক্লাব স্টেশন’ করার জোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যরা। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সদস্যরা এ দাবি জানান। এ সময় তারা বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণকালে জাতীয় প্রেসক্লাব অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বারবার দাবি উত্থাপনের পরও স্টেশনের নাম প্রেস ক্লাবের নামে না হওয়ায় সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিন সকালে ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অতিরিক্ত সাধারণ সভার কার্যক্রম শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপটিক ও বাইবেল পাঠের পর ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পড়ে শোনান।
এরপর সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী স্ব স্ব রিপোর্ট পেশ করেন। এ সময় মঞ্চে সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ ও যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলীও উপস্থিত ছিলেন।
রিপোর্টের ওপর মোট ১৫ জন সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। তারা হলেন-সাইফুল আলম, মনজুরুল আহসান বুলবুল, মো. ওমর ফারুক, তরুণ তপন চক্রবর্তী, সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, খায়রুল আলম, রফিক আহমেদ মুফদি (মুফদি আহমেদ), মো. সিদ্দিকুর রহমান, একেএম মহসীন, আকতার হোসেন, দেলোয়ার হাসান, সাঈদ তারেক, নাজমূল হক সরকার ও মনির হোসেন লিটন।
আলোচনায় সদস্যরা দ্রুত নতুন সদস্য পদ প্রদান, ক্যান্টিনে খাবারের মান উন্নয়ন, ক্লাবের সব সদস্যকে কল্যাণ তহবিলের আওতায় আনা ও সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন। সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন সব প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনার এবং ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আন্দোলনের নামে ট্রেনে-বাসে আগুন দিয়ে মা ও শিশুসহ নিরীহ মানুষ হত্যা কোনো সভ্য এবং গণতান্ত্রিক সমাজের কাজ হতে পারে না।
প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।