গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের চালানো হামলার পর থেকেই গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনার কথা বলে আসছে তেল আবিব। যদিও স্থল অভিযান নিয়ে খোদ মার্কিন জেনারেলরা ইসরাইলকে সতর্ক করে আসছে। ফলে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়নি দেশটি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে কথা বলেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু এ ঘোষণা দেন। তার ভাষণ সম্প্রচার করে ইসরাইলি টেলিভিশন।
তবে কবে নাগাদ ইসরাইলি বাহিনী গাজায় স্থল অভিযান শুরু করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি নেতানিয়াহু। এমনকি সম্ভাব্য অভিযানের বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানাননি তিনি।
এ সময় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে হাজারো ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করেছি। এটা কেবল শুরু।
হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি উপত্যকায় কখন সামরিক বাহিনী প্রবেশ করবে, সে বিষয়ে যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান নেতানিয়াহু।
হামাসের ৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তেল আবিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরাইলি প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা।
অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। গত মঙ্গলবার একদিনেই সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি মারা গেছে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে।
জাতিসংঘের হিসাব বলছে, এখন পর্যন্ত গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। ইসরাইলের ‘নিরবচ্ছিন্ন’ বিমান হামলায় গাজা ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে।