গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের জন্য লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে প্রায় তিন লাখ মানুষ ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খবর আলজাজিরার।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে তেলআবিব। দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পর গত ২৪ নভেম্বর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরাইল।
গাজায় ইসরাইল হামলা চালানোর পরই লন্ডনের বিভিন্ন শহরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই বিক্ষোভ কেন্দ্র করে এক হাজার ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, কর্মকর্তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার জন্য বিক্ষোভকারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে।
চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করেন। ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের প্রতি মেট্রোপলিটন পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, এমন মন্তব্যের পর তাকে বরখাস্ত করা হয়।
বিবিসি বলছে, লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে এই বিক্ষোভটি এমন একসময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে চার দিনের বিরতি চলছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং নিহতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ইসরাইলের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। অন্যদিকে ১৩ ইসরাইলিসহ ২৪ জনকে মুক্তি দেয় হামাস। এর পর শনিবার যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে ইসরাইলের ১৩ বন্দিসহ আরও ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি। মুক্তি পাওয়া অন্য চার বন্দি থাইল্যান্ডের নাগরিক। ১৩ বন্দিবিনিময়ে ইসরাইল ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়।