নিজস্ব প্রতিনিধি: ইষ্ট ওয়েস্টে ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র হাসিবুল হাসান শান্ত কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে লুকিয়ে বিয়ের করে গত ২ বছর যাবত কলেজ ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করার পর জোরপূর্বক গর্ভপাত এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকার একটি আদালতে মামলা সূত্রে জানা যায় এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি ১) হাসিবুল হাসান শান্ত, পিতা-মোস্তাক আহমেদ, মাতা-শাহনাজ পারভীন, স্থায়ী সাং-গ্রাম-চাপারডাংগী, ডাকঘরঃ আলীপুর-৯৪০০, থানা-সদর, জেলা-সাতক্ষীরা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৩৭৬৪৬০৮১৯০, ২নং আসামি মোস্তাক আহমেদ, স্থায়ী সাং-গ্রাম-চাপারডাংগী, ডাকঘরঃ আলীপুর-৯৪০০, থানা-সদর, জেলা-সাতক্ষীরা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০২২ সালে আসামী হাসিবুল হাসান শান্ত ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেয়। বিয়ে ছাড়াই আসামি শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে ভুক্তভোগী রাজি না হলে গত বছরে কোর্ট ম্যারিজ করার পর আসামী তাকে জানায় তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা স্বামী স্ত্রী। আসামী উক্ত হলফনামার একটি ফটোকপি ভুক্তভোগীকে প্রদান করে। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী আসামীকে নিজের স্বামী জেনে আসামীর ইচ্ছা অনুযায়ী তার ঢাকাস্থ বাসা ও তার বিভিন্ন আত্নীয় বন্ধু-বান্ধবের বাসা সহ হোটেল এন্ড রিসোর্ট এবং অন্যান্য স্থানে বিভিন্ন সময় ও তারিখে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আসামী শান্ত ইষ্ট ওয়েস্টে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধু মহলে ও তার কর্মস্থলে সহ সকল স্থানে স্ত্রী বলে পরিচয় দিত। একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রী প্রেগনেন্ট হয়ে পরে। তারপর আসামিকে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা পূরন পূর্বক ভুক্তভোগীকে কাছে নিয়ে যেতে বললে আসামীর পিতা ও মাতা ভুক্তভোগী পরিবার কে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু আসামি শান্ত ভুক্তভোগীকে একমাত্র গর্ভপাত করলেই পারিবারিকভাবে বিয়ে করবে। ভুক্তভোগী রাজি না হলে আসামি শান্ত ও তার বাবা মোস্তাক আহমেদ কুয়াকাটা বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ঔষধ খাইয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করে।
অতঃপর ভুক্তভোগী পরিবারকে গর্ভপাতের বিষয়ে জানায় তার পরিবার আসামীর পরিবারের সাথে কথা বলে। আসামীর পরিবার ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে ওয়াদা ভঙ্গ করে । তারপর গত ০৭/১২/২০২৩ ইং তারিখে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার পুনঃরায় পারিবারিক মর্যাদাক্রমে বিয়ে করার কথা বললে আসামী শান্ত ও তার পরিবারকে বললে আসামী তা প্রত্যাক্ষান করে এবং জানায় তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিল না, “হলফনামা কোন বিবাহ নয়, তার সাথে আমার কোন বিবাহ হয় নি। তৎপরবর্তী তার পরিবারকে অত্র বিষয়ে জানালে তারা আরো লোকজন সহ ভুক্তভোগী ও তার পরিবার কে প্রাননাশের হুমকী দিতে থাকে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দিতে থাকে। উল্লেখ্য আগামি ১২ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আসামি শান্ত অন্য একটি মেয়ের জীবন নষ্ট করতে বিয়ে করতে যাচ্ছে যা আইনত অপরাধ প্রথম স্ত্রী’র অনুমতি ব্যতিত দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছে ইতি মধ্যে তারা আসামি বিয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছে ।